বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মো.শাহজাহান কবীর বলেছেন, দেশের খাদ্য চাহিদা মেটাতে কৃষি বিভাগ নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লার গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম জোরদার করার মাধ্যমে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির সমাপনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, কৃষির জন্য কুমিল্লায় এক সময় অনুকূল পরিবেশ ছিলো। কারণ এখানে কৃষক প্রযুক্তি বান্ধব। এখানকার কৃষকরা সহজে প্রযুক্তির সহায়তা গ্রহণ করে কৃষির উন্নয়নে কাজ করেন। কিন্তু জলাবদ্ধতাসহ বিভিন্ন কারণে কুমিল্লার পরিবেশ প্রতিকূলে চলে যাচ্ছে। বিশেষ করে কুমিল্লা ব্রি’তে আমরা বিভিন্ন জাত সফলভাবে ট্রায়াল দিয়েছিলাম। বর্তমানে জলাবদ্ধতার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। জলাবদ্ধতার সমস্যা দূর করতে বিএিডসি সেচ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লার মিলনায়তনে রবিবার (৩০ জুন) বিকালে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় প্রধান ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.মো. রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সরেজমিন গবেষণা বিভাগ কুমিল্লার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও অফিস প্রধান ড. মোঃ জামাল উদ্দিন, জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার এহতেশাম রাসুলে হায়দার,বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন কুমিল্লার উপ-পরিচালক(বীজ বিপণন) নিগার হায়দার খান।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও অফিস প্রধান ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, আঞ্চলিক কৃষি তথ্য কর্মকর্তা মনিরুল হক রোমেল, মুরাদনগর উপজেলা কৃষি অফিসার পাভেল খান পাপ্পু, বরুড়া উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলাম, কসবা উপজেলা কৃষি অফিসার হাজেরা বেগম ও চৌদ্দগ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা আবদুল করিম প্রমুখ।
সংবাদ
মো: মহসিন মিজি
উপসহকারী কৃষি অফিসার (সংযুক্ত)
কৃষি তথ্য সার্ভিস, কুমিল্লা।
মোবাইল: ০১৭১২০২৪০৮১
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS