উল্লিখিত সার সমান তিন কিস্তিতে ফেব্রুয়ারি, জুন ও অক্টোবর মাসে প্রয়োগ করতে হবে। সার প্রয়োগের পর প্রয়োজনে সেচ প্রদান করতে হবে।
আগাছা দমনঃ গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য জমিকে আগাছামুক্ত রাখা দরকার, বর্ষার শুরুতে ও বর্ষার শেষে কোদাল দ্বারা কুপিয়ে বা চাষ দিয়ে আগাছা দমনের ব্যবস্থা করতে হবে।
পানি সেচ ও নিষ্কাশন: ড্রাগন ফল গাছ খাবার ও জলাবদ্ধতার প্রতি খুব সংবেদনশীল। চারার বৃদ্ধির জন্য শুকনো মৌসুমে ১০-১৫ দিন পরপর সেচ দিতে হবে। ফলন্ত গাছের বেলায় সম্পূর্ণ ফুল ফোটা পর্যায়ে একবার, ফল মটর দানার মত হলে একবার এবং এর ১৫ দিন পর আর এক বার মোট তিনবার সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। সার প্রয়োগের পর সেচ দেয়া ভাল। বর্ষার সময় যাতে গাছের গোড়ায় পানি না জমে থাকে তার জন্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া ফুল আসার ৬-৮ সপ্তাহ আগে সামান্য পানির কষ্ট/পীড়ন দিলে আগাম ও অধিক ফুল ফুটতে দেখা
যায়।
প্রুনিং ও ট্রেনিং : ড্রাগন ফল দ্রুত বৃদ্ধি পায় ও মোটা শাখা (ডগা) তৈরি করে। একটি এক বছরের গাছ ৩০টি পর্যন্ত শাখা তৈরি করতে পারে এবং ৪ বছর বয়সী একটি ড্রাগন ফলের গাছ ১৩০টি পর্যন্ত প্রশাখা তৈরি করতে পারে। তবে শাখা-প্রশাখা উৎপাদন উপর্যুক্ত ট্রেনিং ও ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভর করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, বাংলাদেশের ১২-১৮ মাস পর একটি গাছ ফল ধারণ করে। ফল সংগ্রহের পর ৪০-৫০ টি প্রধান শাখায় প্রত্যেকটিতে ১/২ টি সেকেন্ডারী শাখা অনুমোদন করা হয়। তবে এ ক্ষেতের টারসিয়ারী ও কোয়াটরনারী প্রশাখা কে অনুমোদন করা হয় না। ট্রেনিং এবং প্রুনিং এর কার্যক্রম দিনের মধ্য ভাগে করা ভালো। ট্রেনিং এবং প্রুনিং করার পর অবশ্যই যে কোন ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করতে হবে। অন্যথায় বিভিন্ন প্রকার রোগ বালাই আক্রমণ করতে পারে।
ফল সংগ্রহ ও ফলন: গোলাকার থেকে ডিম্বাকার উজ্জ্বল গোলাপী থেকে লাল রঙের ফল। যার ওজন ২০০-৭০০ গ্রাম। এ ফলগুলো ৭-১০ সেমি চওড়া এবং ৮-১৪ সেমি লম্বা হয়। ভিতরের পাল্প সাদা, লাল, হলুদ ও কালো রঙের হয়। পাল্পের মধ্যে ছোট ছোট কালো নরম অনেক বীজ থাকে। এই বীজগুলো দাঁতের নিচে পড়লে সহজেই গলে যায়। এ ফলগুলো হালকা মিষ্টি। এর মিষ্টতা (টি.এস.এস./ব্রিক্স ১৬-২৪%) ফলগুলো দেখতে ড্রাগনের চোখের মত রঙ ও আকার ধারণ করে। ফলটির সামনের শেষের দিকে হালকা গর্তের মতো থাকে। এ ফলের চামড়ার উপরে আনারসের মতো স্কেল থাকে। ১২-১৮ বছর বয়সের একটি গাছে ৫-২০টি ফল পাওয়া যায় কিন্তু পূর্ণ বয়স্ক একটি গাছে ২৫-১০০টি পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। হেক্টর প্রতি ফলন ২০-২৫ টন।
সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা: ড্রাগন ফল নন ক্লাইমেটারিক ফল হওয়ায় সংগ্রহোত্তর ইথিলিন উৎপাদন ও শ্বসনের হার কম থাকে। এই কারণে ফল পরিপক্ক অবস্থায় সংগ্রহ করতে হয়। সাধারণত ফল ও স্পাইনলেটের রঙ লালচে বর্ণ ধারণ করলে ফল সংগ্রহ করতে হবে। অপরিপক্ক ফলে মিষ্টতা ও অন্যান্য গুণাবলি পরিপক্ক ফলের তুলনায় অনেক কম থাকে। ভাল বাজারমূল্য পাওয়ার জন্য ফল লালচে বর্ণ ধারণ করার ৫-৭ দিনের মধ্যে সংগ্রহ করা ভাল। গাছে ফল অতিরিক্ত পাকিয়ে সংগ্রহ করলে ফলের চাসরা ফে
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস